
সমাজকর্মী হিসেবে পদে পদে সমাজের অবক্ষয়ের আঁচ অনুভব করতে হয়। উন্নয়ন সংস্থার সকল কিছু সমাজ, পরিবেশ ও মানব কল্যাণে ব্যবহৃত হয়। অথচ তাদেরকেই লাভজনক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ন্যায় সকল ধরনের কর প্রদান করতে হচ্ছে, সঙ্গত কারণে সেবাধর্মী উন্নয়ন সংগঠন ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শ্রেণী বিভাজন করা এখন দুরূহ।
উন্নয়ন সংগঠনগুলিকে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ ও দাতা সংস্থার নিয়ম-নীতি অনুসারে চলতে হয়, সঙ্গত কারণে তাদের সকল ক্ষেত্রে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা মূল পুঁজি। তারই ধারাবাহিকতায় সংস্থাসমূহ সরকারের সহযোগি হিসেবে রাজস্ব সংগ্রহে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করে।
কর কর্তৃপক্ষ ঘুরে ফিরে সময়ে-অসময়ে তালিকাভুক্তির কারণে তারা কতটুকু কর ফাঁকি দিচ্ছে সেই মনিটরিংয়ে ভীষণ ব্যস্ত কিন্তু অনেকে দেদারসে ব্যবসা করে যাচ্ছে কিন্তু রহস্যজনকভাবে করের নথিতে অন্তর্ভুক্তি নেই । এমন হলে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে কি করে?
মজার বিষয় করের আওতাভুক্ত সংস্থাসমূহের হিসাব সংক্রান্ত সামান্য ভুল বুঝাবুঝির খেসারত ব্যক্তিগতভাবে অনেক কর্মীকে দিতে হয়, হতে হয় লজ্জিত ও অপমানিত কিন্তু বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিক। উভয় পক্ষ তার প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ দেখার জন্য নিয়োজিত কিন্তু সেটা যদি ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণ হয়; তা দুঃখজনক।